রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এজন্যে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে বলেন ব্যবসায়ীদের। রাষ্ট্রপতি বলেন, কোন স্বার্থান্বেষী মহল যেন উৎপাদনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেদিক সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২৩’র অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, অর্থনীতির অন্যতম মূল ভিত্তি বস্ত্র খাত। দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানী বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্র বিষয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে চাহিদা ভিত্তিক পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে বাস্তব ও বহুমুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
বৈদেশিক বাণিজ্য এখন অনেক বেশী চ্যালেঞ্জিং, প্রতিযোগিতামূলক এবং জ্ঞান ও নীতিমালাভিত্তিক জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। কয়েকটি পণ্যের ওপর নির্ভর না করে রপ্তানি ঝুড়িতে পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
গুটিকয়েক দেশের ওপর নির্ভর না করে বিশ্বের সম্ভাব্য সকল স্থানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করে বাজারকে ছড়িয়ে দিতে বলেন ব্যবসায়ীদের। এ ব্যাপারে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে বলেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকারের তাগিদ দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে ব্যবসায়ীদের। শ্রমিকরাই উৎপাদনমুখী শিল্পের চালিকাশক্তি। তিনি বলেন, শ্রমিক ভালো থাকলে কারখানা ভালো থাকবে। কোন দুষ্টচক্র বা স্বার্থান্বেষী মহল যাতে উৎপাদনমুখী কারখানার পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে বলেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বস্ত্র খাতে বিনিয়োগ, উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে শিল্পপতি, শিল্প উদ্যোক্তাগণের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ভূমিকা চান তিনি।
‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২৩। এই খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১১ টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।